AKR PUBLICATION & AKR TV
Get a Quote
নবীজীকে আমাদের মতো মানুষ বললে শুধু খারিজ নয়---------সঙ্গ ে স...
By Md Akr khan
Sat, 24-Mar-2018, 17:12

নবীজীকে আমাদের মতো মানুষ বললে শুধু খারিজ নয়---------সঙ্গ ে সঙ্গে কাফের হয়ে যাবে! সুরা কাহাফের 110 নম্বর আয়াত---- ﻗﻞ ﺍﻧﻤﺎ ﺍﻧﺎ ﺑﺸﺮ ﻣﺜﻠﻜﻢ ﻳﻮﺣﻲ ﺍﻟﻲ "কুল ইন্নামা আনা বাশারুম মিছলুকুম ইউহা ইলাইয়া " হে নবী আপনিই বলুন, আমি তোমাদের মতো মানুষ তবে আমার উপর ওহী আসে!! একটু লক্ষ্য করুন,,,,,, এখানে "কুল" ---আমরে হাজার ওয়াহেদ "ইন্নামা" --- হাজা কালেমায়ে হছর , হছরে হেজাজী এসেছে একমাত্র অর্থ দেওয়ার জন্য! ইন্নামা শব্দের অর্থ একমাত্র আপনিই!! তারপর "বাশার" অর্থ হল রং নমুনার মানুষ, আকার আকৃতির মানুষ, । সুতরাং উক্ত আয়াতের হাক্বীকী অর্থ হচ্ছে ------- হে নবী একমাত্র আপনিই আপনার জবানে বলুন, আমি তোমাদের মতোই মানুষ! অর্থাত্ হে নবী একমাত্র আপনিই বলুন , (অন্য কেউ নয়) আমি তোমাদের মতোই বাশার !! বাশার শব্দের অর্থ হচ্ছে আকার আকৃতির মানুষ, দৈহিক আকৃতির মানুষ, রং নমুনার মানুষ! সুতরাং উক্ত আয়াতের অর্থ হচ্ছে, হে নবী একমাত্র আপনিই বলুন, আমি তোমাদের মতো মানুষ!! আর কেউ বলতে পারবেনা , শুধু নবীজীকেই বলার জন্য বলা হয়েছে !! তাই কেউ যদি উক্ত আয়াতটিকে নিজের দিকে টেনে আনে অর্থাত্ নবীজীকে আমাদের মতো মানুষ বলে,,,,,সে পবিত্র কুরআনকে অস্বীকার করল,,,,,,,আর যে কুরআনকে অস্বীকার করল, সে স্বয়ং আল্লাহ্কে অস্বীকার করল! !! আর যারা আল্লাহ্কে অস্বীকার করে সে নাস্তিক, খারেজি, জাহান্নামী, কাফের। তারপরও বাতিলেরা আমাদের মতো যদি বলে, এজন্যই উক্ত আয়াতের সাথে আল্লাহ্ পাক " ইউহা ইলাইয়া " লাগিয়ে দিয়েছেন যার অর্থ আমার নিকট ওহী আসে ,তোমাদের নিকট আসেনা। সুতরাং তোমরা আমার মতো হতে পারনা ☆☆☆☆☆☆☆ মহান আল্লাহ কোরআনে ঘোষণা করেছেন " ফাকতুলুল মুশরেকিনা হায়সু ওয়াজাদতু হুম " অর্থ মুশরেকদেরকে যেখানে পাও কতল/ হত্যা কর । অন্য যায়গা বলেছেন " লাকুম দ্বীনুকুম ওয়ালিয়াদ্বীন" তোমারা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি কর না ।এখানে দুইটি আয়াত নাজিল হওয়ার দুইটি কারন আছে , যাকে বলা হয় শানে নজুল বা আয়াত নাজিলের কারন । কাফেরেরা যখন বলতে লাগল " ইনি কেমন রাসুল? যে আমাদের মতো খায় ,আমাদের মতো চলাফেরা করে , বাজারে যায়, আমাদের মতো সংসার করে। রাসুল যিনি হবেন তিনি হবেন অন্য জগতের। তখন মহান রাব্বুল কোরআনের এই আয়াতের মধ্যে বলেন "হে রাসুল আপনি বলেন আমি তোমাদের মতো মানুষ । সুতরাং বুঝতে হবে এই আয়াত কাফেরদের শানে নাজিল হয়েছিল, আজ সেই কাফেরদের পেতাত্বারা এই আয়াত নিয়ে ফতুয়া দেয় নবী তার মতো , নাওজুবিল্লাহ । ফেসবুকে না চিল্লাইয়া সামনাসামনি বসুন? সমাধান করুন? কার কত ইলেমের জোর দেখা যাক । পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে , মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- ﻳﻨﺴﺎﺀ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﻟﺴﺘﻦ ﻛﺎﺣﺪ ﻣﻦ ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ অর্থ: হে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া আলাইহিন্নাস সালাম! অর্থাৎ উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম আপনারা অন্য কোন মহিলাদের মতো নন। (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩২) এখানে বিশেষভাবে জানা আবশ্যক যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আহলিয়া উনাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা যদি অন্য কোন মহিলাদের মতো না হন তাহলে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কি করে অন্য পুরুষ তথা অন্য মানুষের মতো হনে? প্রকৃতপক্ষে তিনি কারো মতোই নন। যেমন এ প্রসঙ্গে ছহীহ বুখারী শরীফ ও ছহীহ মুসলিম শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত হয়েছে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- ﻟﺴﺖ ﻛﺎﺣﺪ ﻣﻨﻜﻢ অর্থাৎ- “আমি তোমাদের কারো মতো নই।” তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন- ﺍﻳﻜﻢ ﻣﺜﻠﻰ ﺍﻧﻰ ﺍﺑﻴﺖ ﻳﻄﻌﻤﻨﻰ ﺭﺑﻰ ﻭﻳﺴﻘﻴﻨﻰ অর্থাৎ “তোমাদের মধ্যে কে আছো আমার মতো। আমি মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে রাত্রি যাপন করি, তিনিই আমাকে খাওয়ান এবং তিনিই আমাকে পান করান।” সুবহানাল্লাহ! পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির পর থেকে যমীনে আগমনের পূর্ব পর্যন্ত শুধুমাত্র নূর মুবারক উনার ছূরত বা আকৃতি মুবারক-এ ছিলেন। আর হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নূর মুবারক উনার দ্বারা সৃষ্টি বলা হয়। তাই বলে কি হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা কখনও একথা বলেছেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদের মতো? বললে কি শুদ্ধ হতো? কখনোই না। তাহলে মেছালী ছূরত মুবারক উনার কারণে তিনি অন্য মানুষের মতো হন কি করে? আরো বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আনুষ্ঠানিক নুবুওওয়াত প্রকাশের তেইশ বছর যিন্দিগী মুবারক-এ হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি চব্বিশ হাজার বার সাক্ষাৎ মুবারক করেছেন। এরমধ্যে তিনি অনেক সময় ছাহাবী হযরত দাহইয়াতুল কলবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মুবারক ছূরত বা আকৃতিতে সাক্ষাৎ মুবারক করেছেন। এছাড়া পবিত্র সূরা মারইয়াম শরীফ উনার ১৭ নম্বর আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনার মানব আকৃতি ধারণ করার কথা উল্লেখ করেছেন। এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যেও ‘বাশার’ শব্দটি উল্লেখ আছে। এখন বাশার মেছালী ছূরত মুবারক ধারণ করার কারণে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যারা তাদের মতো সাধারণ মানুষ বলছে, তারা তাহলে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনাকেও তাদের মতো মানুষ বলুক। কিন্তু তারা তো তা বলছে না। একইভাবে জিনেরাও মানুষের ছূরত ধারণ করে চলাফেরা করে, মানুষের সাথে সাক্ষাৎ করে সেজন্য তাদেরকে কি মানুষ বলা শুদ্ধ হবে? কস্মিনকালেও নয়। উল্লেখ্য, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে কটূক্তি করে যারা বলছে যে, তিনি তাদের মতোই সাধারণ মানুষ। নাঊযুবিল্লাহ! যারা এরূপ জঘন্য উক্তি করছে তারা কি কখনও তাদের দলের আমীর, উস্তাদ ও পিতা- মাতার দাঁতকে কুকুরের দাঁতের মতো বলবে? যদিও কুকুরের দাঁত তাদের আমীর, মুরুব্বী, উস্তাদ ও পিতা-মাতার দাঁতের চেয়েও শক্ত। আরো উল্লেখ্য, জগৎ কুখ্যাত নমরূদ, সাদ্দাদ, কারূন, ফিরআউন, আবূ জাহিল, আবূ লাহাব এরাও তো মানুষ, তাহলে মাঝে মাঝে ওইসব কুলাঙ্গাররা নিজেদের বড়ত্ব প্রকাশ করার জন্য বলুক যে, সে এবং তাদের আমীর ও মুরুব্বী গং নমরূদ, সাদ্দাদ, কারূন, ফিরআউন, আবূ জাহিল, আবূ লাহাবের মতোই। এসব পথভ্রষ্ট জাহিলদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি যথার্থই ইরশাদ মুবারক করেছেন- ﻣﻦ ﺍﺗﺨﺬ ﺍﻟﻬﻪ ﻫﻮﺍﻩ ﻭﺍﺿﻠﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻰ ﻋﻠﻢ ﻭﺧﺘﻢ ﻋﻠﻰ ﺳﻤﻌﻪ ﻭﻗﻠﺒﻪ ﻭﺟﻌﻞ ﻋﻠﻰ ﺑﺼﺮﻩ ﻏﺸﺎﻭﺓ অর্থ: “যে ব্যক্তি তার খেয়াল-খুশিকে স্বীয় উপাস্য স্থির করে নেয়, মহান আল্লাহ পাক তিনি জেনে শুনেই তাকে পথভ্রষ্ট করেন, তার কান ও অন্তরে মোহর মেরে দেন এবং তার চোখের উপর আবরণ বা পর্দা রেখে দেন।” (পবিত্র সূরাতুল জাছিয়াহ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)। ওহাবী আহলে খবিশরা এরপরও কি নবীজীকে মানুষ বলবে??????????????দেওবন্দী ওলামাদের দৃষ্টিতে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘নূরের নবী’ ============================== ========== দেওবন্দী মসলকের সর্বজন মান্য মাওলানা রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী বলেন- ﺣﻖ ﺗﻌﺎﻟﯽ ﺩﺭ ﺷﺎﻥ ﺣﺒﯿﺐ ﺧﻮﺩ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﯿﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﺮﻣﻮﺩ ﮐﻪ ﺁﻣﺪﻩ ﻧﺰﺩ ﺷﻤﺎ ﺍﺯ ﻃﺮﻑ ﺣﻖ ﺗﻌﺎﻟﯽ ﻧﻮﺭ ﻭﮐﺘﺎﺏ ﻣﺒﯿﻦ ﻭﻣﺮﺍﺩ ﺍﺯ ﻧﻮﺭ ﺫﺍﺕ ﭘﺎﮎ ﺣﺒﯿﺐ ﺧﺪﺍ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﯿﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻧﯿﺰ ﻓﺮﻣﻮﺩ ﮐﻪ ﺍﮮ ﻧﺒﯽ ﺗﺮﺍ ﺷﺎﮬﺪ ﻣﺒﺸﺮ ﻭﻧﺬﻳﺮ ﻭ ﺩﺍﻋﯽ ﺍﻟﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻭ ﺳﺮﺍﺝ ﻣﻨﻴﺮ ﻓﺮﺳﺘﺎﺩﮦ ﺍﯾﻢ ﻭﻣﻨﯿﺮ ﺭﻭﺷﻦ ﮐﻨﻨﺪﮦ ﻭ ﻧﻮﺭ ﺩﮬﻨﺪﮦ ﺭﺍ ﮔﻮﯾﻨﺪ ﭘﺲ ﺍﮔﺮ ﮐﺴﮯ ﺭﺍ ﺭﻭﺷﻦ ﮐﺮﺩﻥ ﺍﺯ ﺍﻧﺴﺎﻧﺎﮞ ﻣﺤﺎﻝ ﺑﻮﺩﮮ ﺁﻥ ﺫﺍﺕ ﭘﺎﮎ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﯿﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺭﺍ ﮨﻢ ﺍﯾﮟ ﺍﻣﺮ ﻣﯿﺴﺮ ﻧﯿﺎﻣﺪ ﮐﮧ ﺁ ﺫﺍﺕ ﭘﺎﮎ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﯿﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﮨﻢ ﺍﺯ ﺟﻤﻠﮧ ﺍﻭﻻﺩ ﺁﺩﻡ ﻋﻠﯿﮧ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﺍﻧﺪ ﻣﮕﺮ ﺁﮞ ﺣﻀﺮﺕ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﯿﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺫﺍﺕ ﺧﻮﺩ ﺭﺍ ﭼﻨﺎﮞ ﻣﻈﮩﺮ ﻓﺮﻣﻮﺩ ﮐﮧ ﻧﻮﺭ ﺧﺎﻟﺺ ﮔﺸﺘﻨﺪ ﻭ ﺣﻖ ﺗﻌﺎﻟﯽ ﺍﻥ ﺟﻨﺎﺏ ﺳﻼﻣﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﺭﺍ ﻧﻮﺭ ﻓﺮﻣﻮﺩ ﻭﺑﮧ ﺛﺎﺑﺖ ﺷﺪ ﮐﮧ ﺁﮞ ﺣﻀﺮﺕ ﻋﻠﯿﮧ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﺳﺎﯾﮧ ﻧﮧ ﺩﺍﺷﺘﻨﺪ ﻇﺎﮨﺮ ﺍﺳﺖ ﮐﮧ ﺑﺠﺰ ﻧﻮﺭ ﮨﻤﮧ ﺍﺟﺴﺎﻡ ﻇﻞ ﻣﯽ ﺩﺍﺭﻧﺪ - আল্লাহ তায়ালা তাঁর হাবিব ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﯿﻪ ﻭﺳﻠﻢ এর শানে ফরমায়েছেন, তোমাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে এক নূর ও স্পণ্ট কিতাব এসেছে। এ আয়াতে নূর দ্বারা হাবিবে খোদা ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﯿﻪ ﻭﺳﻠﻢ এর নূরকে বুঝানো হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন, হে নবী ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﯿﻪ ﻭﺳﻠﻢ আমি তো আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী, আল্লাহর অনুমতিক্রমে তাঁর দিকে আহবানকারী এবং উজ্জ্বল প্রদীপরূপে পাঠিয়েছি। আর ‘মুনীর’ উজ্জ্বলকারী ও আলোকদাতাকে বলা হয়। সুতরাং মানুষের মধ্যে কাউকে উজ্জ্বল করা যদি অসম্ভব হতো তাহলে হযরত ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﯿﻪ ﻭﺳﻠﻢ এর পবিত্র সত্তার অন্তর্গত কিন্তু তিনি তাঁর মোবারক সত্তাকে এমনভাবে পবিত্র করেছেন যে, তিনি নিখুঁতভাবে নূরে পরিণত হন এবং আল্লাহ তায়ালা তাঁকে নূর ফরমায়েছেন। আর সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, রাসূল ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﯿﻪ ﻭﺳﻠﻢ এর ছায়া ছিল না এবং এটাও প্রকাশ্যমান যে, নূর ব্যতীত সমুদয় জড় দেহের ছায়া থাকে। [ইমদাদুস সুলূক-পৃ. ৮৫] মাওলানা আশরাফ আলী থানভী বলেন, ﯾﮧ ﺑﺎﺕ ﻣﺸﮩﻮﺭﮦ ﮐﮧ ﮨﻤﺎﺭﮮ ﺣﻀﻮﺭ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﯿﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﮐﺎ ﺳﺎﯾﮧ ﻧﮩﮯ ﺗﮩﺎ ﺍﺳﻠﺌﮧ ﮐﮧ ﮨﻤﺎﺭﮮ ﺣﻀﻮﺭ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﯿﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺳﺮ ﭼﺎ ﻧﻮﺭ ﮨﮯ ﻧﻮﺭ ﺗﮩﮯ এ কথা প্রসিদ্ধ যে আমাদের হুযুর ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﯿﻪ ﻭﺳﻠﻢ এর ছায়া ছিল না। (কারণ) আমাদের হুযুর ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﯿﻪ ﻭﺳﻠﻢ আপাদমস্তক নূরাণী ছিলেন। হুযুর ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﯿﻪ ﻭﺳﻠﻢ এর মধ্যে নামমাত্রও অন্ধকার ছিল না। কেননা ছায়ার জন্য অন্ধকার অপরিহার্য। [শুকরুন নে’মাতি- পৃ. ৩৯] দেওবন্দ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা কাসেম নানুতভী বলেন- ﮐﮩﺎﮞ ﻭﮦ ﺭﺗﺒﮧ ﮐﮩﺎﮞ ﻭﮦ ﻋﻘﻞ ﻧﺎﺭ ﺳﺎ ﺍﭘﻨﯽ ﮐﮩﺎﮞ ﻭﮦ ﻧﻮﺭ ﺧﺪﺍ ﺍﻭﺭ ﮐﮩﺎﮞ ﯾﮧ ﺩﯾﺪۃ ﺯﺍﺭ কোথায় ঐ উঁচু মর্যাদা? কোথায় ঐ নিজের অপূর্ব বিবেক? কোথায় ঐ খোদার নূর? (নবীজী ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﯿﻪ ﻭﺳﻠﻢ) আর কোথায় সেই অশ্রুসজল চোখ? [ক্বাসাইদে ক্বাসেমী- পৃ. ৭] শেখুল হিন্দ মাওলানা সাইয়্যেদ হুসাইন আহমদ মাদানী বলেন- ﻏﺮﺿﯿﮑﮧ ﺣﻘﯿﻘﺖ ﻣﺤﻤﺪ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﯿﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻟﺘﺤﯿۃ ﻭﺍﺳﻄﮧ ﺟﻤﻠﮧ ﮐﻤﺎﻻﺕ ﻋﺎﻟﻢ ﻋﺎﻟﻤﯿﮧ ﮨﮯ ﯾﮧ ﮬﯽ ﻣﻌﻨﯽ ﻟﻮﻻﮎ ﻟﻤﺎ ﺧﻠﻘﺖ ﺍﻻﻓﻼﮎ ﺍﻭﺭ ﺍﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻠﮧ ﻧﻮﺭﯼ ﺍﻭﺭ ﺍﻧﺎ ﻧﺒﯽ ﺍﻻﻧﺒﯿﺎﺀ ﮐﮯ ﮨﯿﮟ মোট কথা হলো সমস্ত কায়েনাত বা আলম হাকীকতে মুহাম্মদী তথা নূরে মুহাম্মদী থেকে সৃষ্ট। যেমন হাদিসে কুদসীতে আল্লাহ বলেন, যদি আপনি না হতেন তবে আমি সকল আসমান-যমীন কিছুই সৃষ্টি করতাম না। রাসূল ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﯿﻪ ﻭﺳﻠﻢ এর বানী, মহান আল্লাহ সর্বপ্রথম আমার নূর সৃষ্টি করেছেন এবং আরও বলেন আমি নবীদেরও নবী। [আশ শিহাবুস সাক্বিব- পৃ. ৫০] দেওবন্দের শাইখুল হাদিস আল্লামা আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী বলেন, ﮐﺎﻧﺪﺭ ﺁﻧﺠﺎ ﻧﻮﺭ ﺣﻖ ﺑﻮﺩ ﻭﮨﻨﺪ ﺩﯾﮕﺮ ﺣﺠﺎﺏ ﺩﯾﺪ ﻭﺑﺸﻨﯿﺪ ﺁﻧﭽﮧ ﺟﺰﻭﯼ ﮐﺲ ﺑﻨﺸﻨﯿﺪ ﻭﻧﺪﯾﺪ ওই জায়গায় আল্লাহর নূর ছিলো, আর অন্যরা পর্দাবৃত। তাই দেখেছে ও শুনেছে। কিন্তু ওইন নূর এমনই অনন্য যে, তা সম্পর্কে না কেউ শুনেছে , না তেমনি সুন্দর কেউ দেখেছে। [আকীদুল ইসলাম- পৃ. ২১৯]

View more on Facebook

Share via:

Leave a Message:
Related Updates
=> আজানের সময় কুকুরের ক্রন্দন কী ভয়ার্ত কিছুর ইংগিত করে? =>...
আসুন জেনে নেই, পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে কিছু অপ্রিয় সত্য...........
জাবির ইব্নু আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (সা) - বলেনঃ আ...
☞ ২০০০ সাল: একজন খৃষ্টান ডাক্তার পৃথিবীর বুকে ঘোষণা দিল, কুর...
পোষ্টটি সবারই পড়া দরকার শিক্ষকঃ তুমি কি কোন লোহার দোকানে গি...
KEEP UP TO DATE

This site was designed with Websites.co.in - Website Builder

WhatsApp Google Map
×

Caution! Unverified Website!


The identity of this user has not yet been verified. Please make transactions at your own risk!

Safety and Abuse Reporting

Thanks for being awesome!

We appreciate you contacting us. Our support will get back in touch with you soon!

Have a great day!

Are you sure you want to report abuse against this website?

Please note that your query will be processed only if we find it relevant. Rest all requests will be ignored. If you need help with the website, please login to your dashboard and connect to support

;