Caution! Unverified Website!
The identity of this user has not yet been verified. Please make transactions at your own risk!
আল্লামা মওদুদী রাহিমাহুল্লাহ ও আহলে হাদীসের শায়খের দৃষ্টিতে
সাহাবায়ে কিরাম:
----------------------------------------
আল্লামা মওদুদী রাহিমাহুল্লাহ সাহাবায়ে কিরাম সম্পর্কে সুস্পষ্ট
ভাবে বলেনঃ
"রাসূলুল্লাহ (সা) থেকে বর্ণনার ব্যাপারে আমরা নিঃসন্দেহে সকল
সাহাবীকেই বিশ্বস্ত-নির্ভরযোগ্য দেখতে পাই, সকলের বর্ণনাকেই
মনে প্রাণে গ্রহণ করি।"
(খেলাফত ও রাজতন্ত্র, পরিশিষ্ট অধ্যায়, পৃঃ২৪৭)
.
পক্ষান্তরে বিখ্যাত সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা)
সম্পর্কে আহলে হাদীসের শায়খ মোবারকপুরীর জঘন্য বক্তব্য
দেখুনঃ
.
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা)
(উপস্থিত লোকদেরকে লক্ষ্য করে) বলেন:
« ﺃَﻟَﺎ ﺃُﺻَﻠِّﻲ ﺑِﻜُﻢْ ﺻَﻠَﺎﺓَ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ
ﻭَﺳَﻠَّﻢَ؟ ﻓَﺼَﻠَّﻰ، ﻓَﻠَﻢْ ﻳَﺮْﻓَﻊْ ﻳَﺪَﻳْﻪِ ﺇِﻟَّﺎ ﻓِﻲ ﺃَﻭَّﻝِ ﻣَﺮَّﺓٍ «.
ﻭَﻓِﻲ ﺍﻟﺒَﺎﺏِ ﻋَﻦْ ﺍﻟﺒَﺮَﺍﺀِ ﺑْﻦِ ﻋَﺎﺯِﺏٍ. ﺣَﺪِﻳﺚُ ﺍﺑْﻦِ ﻣَﺴْﻌُﻮﺩٍ
ﺣَﺪِﻳﺚٌ ﺣَﺴَﻦٌ، ﻭَﺑِﻪِ ﻳَﻘُﻮﻝُ ﻏَﻴْﺮُ ﻭَﺍﺣِﺪٍ ﻣِﻦْ ﺃَﻫْﻞِ ﺍﻟﻌِﻠْﻢِ ﻣِﻦْ
ﺃَﺻْﺤَﺎﺏِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻭَﺍﻟﺘَّﺎﺑِﻌِﻴﻦَ، ﻭَﻫُﻮَ
ﻗَﻮْﻝُ ﺳُﻔْﻴَﺎﻥَ ﺍﻟﺜَّﻮْﺭِﻱِّ ﻭَﺃَﻫْﻞِ ﺍﻟﻜُﻮﻓَﺔِ ) ﺭَﻭَﺍﻩ ﺍﻟﺘِّﺮﻣٍﺬِﻯْ ﻓِﻰْ
ﺑَﺎﺏِ ﻣﺎ ﺟﺎﺀ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻟﻢ ﻳﺮﻓﻊ
ﺇﻻ ﻓﻲ ﺃﻭﻝ ﻣﺮﺓ )
"আমি কি তোমাদেরকে রসূলুল্লাহ স.-এর নামাযের মতো নামায
পড়াব না? এরপর তিনি নামায পড়লেন এবং তাতে প্রথমবার
(অর্থাৎ, তাকবীরে তাহরিমা) ব্যতীত আর কোথাও হাত তুললেন
না।"
(ইমাম তিরমিজী বলেনঃ) এ সম্পর্কে বারা বিন আযেব রা. থেকে
হাদীস বর্ণিত হয়েছে। ইবনে মাসউদ রা.-এর হাদীসটি হাসান। সাহাবা
এবং তাবিঈদের একাধিক আলিম এভাবেই আমলের কথা বলেছেন। এটা
সুফিয়ান সাওরী এবং কুফাবাসীদেরও মত (তিরমিজী: ২৫৭)
.
হাদীসটির স্তর : সহীহ। এ হাদীসের রাবীগণ সবাই-ই বুখারী-
মুসলিমের রাবী। ইমাম তিরমিজী রহ. এটাকে হাসান বললেও শায়খ
শুআইব আরনাউত বলেন: ﺻﺤﺤﻪ ﻏﻴﺮ ﻭﺍﺣﺪ ﻣﻦ ﺍﻷﺋﻤﺔ، “বহু
সংখ্যক ইমাম হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন”। (সহীহ ইবনে হিব্বান:
১৮৭৪ নম্বর হাদীসের আলোচনায়) আল্লামা আবুল হাসান ইবনুল
কত্তান রহ. বলেন: ইমাম দারাকুতনী বলেছেন, হাদীসটি সহীহ। (আল
ওয়াহাম ওয়াল ঈহাম: ১১০৯ নম্বর হাদীস-এর আলোচনায়)
তিরমিজী, আবু দাউদ এবং নাসাঈ শরীফের তাহকীকে শায়খ আলবানীও
এ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। মুসনাদে আবু ইয়া’লার তাহকীকে শায়খ
হুসাইনও হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (মুসনাদে আবু ইয়া’লা: ৫০৪০
নম্বর হাদীসের তাহকীকে) শাব্দিক কিছু তারতম্যসহ এ হাদীসটি আবু
দাউদ: ৭৪৮ ও ৭৪৯, নাসাঈ: ১০২৯ ও ১০৬১, মুসনাদে
আহমাদ: ৩৬৮১ ও ৪২১১, আব্দুর রযযাক: ২৫৩৩ ও ২৫৩৪,
ইবনে আবী শাইবা: ২৪৫৬ ও ২৪৫৮ এবং আবু ইয়া’লা: ৫০৪০
ও ৫৩০২ নম্বরে বর্ণিত হয়েছে।
.
তিরমিজীর ব্যাখ্যা গ্রন্থ তোহফাতুল আহওয়াজীর লিখক, আহলে
হাদীসের শীর্ষস্থানীয় শায়খ আব্দুর রহমান মোবারকপুরী এ সহীহ
হাদীসকে জঈফ প্রমাণ করতে গিয়ে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা)
সম্পর্কে বলেনঃ
ﻭﻟﻮ ﺗﻨﺰﻟﻨﺎ ﻭﺳﻠﻤﻨﺎ ﺍﻥ ﺣﺪﻳﺚ ﺍﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﻫﺬﺍ ﺻﺤﻴﺢ
ﺍﻭ ﺣﺴﻦ ﻓﺎﻟﻈﺎﻫﺮ ﺍﻥ ﺍﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﻗﺪ ﻧﺴﻴﻪ ﻛﻤﺎ ﻗﺪ
ﻧﺴﻲ ﺍﻣﻮﺭﺍ ﻛﺜﺮﺍﺓ- )ﺗﺤﻔﺔ ﺍﻻﺣﻮﺫﻱ، ﺹ ٢٢١ ﺝ١ )
.
"আমরা যদি মেনেও নেই যে, রফউল ইয়াদাঈন না করার ব্যাপারে
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) এর হাদীস সহীহ বা হাসান, স্পষ্টত:
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) রফউল ইয়াদাঈন করার
বিষয়টি ভুলে গেছেন, যেমন তিনি অন্যান্য অনেক বিষয় ভুলে
গেছেন।"
(তোহফাতুল আহওয়াজী, ১ম খন্ড, পৃঃ২২১)
.
এই হলো আহলে হাদীসের আসল চেহারা। মতের সাথে না মিললে
রাসূলুল্লাহ (সা) এর হাদীস পায়ে নিচে ফেলে দিবে। সাহাবীকে ভুল,
পাগল ও জঈফ (দুর্বল) সাব্যস্ত করবে। ইবনে মাসউদ (রা) কি
একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন? তিনি অধিক হাদীস বর্ণনাকারী
দশজন সাহাবীর মাঝে অষ্টম। তিনি মোট ৮৪৮ টি হাদীস বর্ণনা
করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) এর বর্ণিত সব হাদীসই কি
ভুল? শুধু সহীহ বুখারীতেই প্রায় ৮০টি হাদীস ইবনে মাসউদ (রা)
থেকে বর্ণিত। তাহলে তো এসব হাদীসও জঈফ বলে সাব্যস্ত হলো!
মোবারকপুরীর এ বক্তব্য পুরো শরীয়তকে আস্থাহীন ও ভিত্তিহীন
করার জন্য যথেষ্ট। একজন ইসলাম বিদ্বেষী সহজেই এ কথা বলতে
পারে, প্রত্যহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল যদি
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) ভুলে গিয়ে থাকেন, তবে তিনি
অন্যান্য বিষয় কিভাবে স্মরণ রেখেছেন?
.
প্রবৃত্তিপূঁজারী ও স্বার্থন্ধ যে সকল আহলে হাদীস আব্দুল্লাহ
ইবনে মাসউদ (রা) এর সমালোচনা করে বা তাকে হাদীস বর্ণনার
ক্ষেত্রে (জঈফ) দূর্বল সাব্যস্ত করার জন্য ব্যর্থ চেষ্টা করে,
তাদের উদ্দেশ্যে শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহ এর
একটি বক্তব্যই যথেষ্ট। ইবনে তাইমিয়া তাঁর ফতোয়াতে লিখেছেনঃ
ﻭﺳﺄﻝ ﻋﻠﻲ ﻋﻦ ﻋﻠﻤﺎﺀ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻓﻘﺎﻝ ﻭﺍﺣﺪ ﺑﺎﻟﻌﺮﺍﻕ
ﺍﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ، ﻭﺍﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﻓﻲ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﻣﻦ ﻃﺒﻘﺔ ﻋﻤﺮ
ﻭ ﻋﻠﻲ ﻭ ﺍﺑﻦ ﻣﻌﺎﺫ ﻭﻫﻮ ﻣﻦ ﺍﻟﻄﺒﻘﺔ ﺍﻻﻭﻟﻲ ﻣﻦ
ﻋﻠﻤﺎﺀ ﺍﻟﺼﺤﺎﺑﺔ ﻓﻤﻦ ﻗﺪﺡ ﻓﻴﻪ ﺍﻭ ﻗﺎﻝ ﻫﻮ ﺿﻌﻴﻒ
ﺍﻟﺮﺍﻭﻳﺔ ﻓﻬﻮ ﻣﻦ ﺟﻨﺲ ﺍﻟﺮﺍﻓﻀﺔ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﻳﻘﺪﺣﻮﻥ ﻓﻲ
ﺍﺑﻲ ﺑﻜﺮ ﻭﻋﻤﺮ ﻭﻋﺜﻤﺎﻥ ﻭ ﺫﻟﻚ ﻳﺪﻝ ﻋﻠﻲ ﺍﻓﺮﺍﻁ ﺟﻬﻠﻪ
ﺑﺎﻟﺼﺤﺎﺑﺔ ﻭﺯﻧﺪﻗﺘﻪ ﻭﻧﻔﺎﻗﻪ -
.
"হযরত আলী (রা) কে জিজ্ঞাস করা হলো সাহাবীদের মাঝে বড়
আলেম কে। তিনি বলেন, 'তিনি হলেন একজন, ইরাকে অবস্থানরত
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ(রা)'। ইলমের ক্ষেত্রে আব্দুল্লাহ
ইবনে মাসউদ(রা) ছিলেন হযরত ওমর (রা), আলী (রা) এবং মুয়াজ
ইবনে জাবাল (রা) এর স্তরের। সাহাবীদের মাঝে তিনি হলেন প্রথম
সারীর সাহাবী। যে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) এর সমালোচনা
করে কিংবা হাদীসের ক্ষেত্রে তাকে (জঈফ) দূর্বল বলে সে শিয়াদের
গোত্রভুক্ত, যারা আবূ বকর (রা), ওমর (রা) ও ওসমান (রা) এর
সমালোচনা করে। ইবনে মাসউদ (রা) এর সমালোচনা সাহাবায়ে
কিরাম সম্পর্কে তার অজ্ঞতা, তার ধর্মদ্রোহিতা এবং মুনাফিকীর
প্রকাশ মাত্র।"
(মাজমুউল ফাতাওয়া, ৪র্থ খন্ড, পৃঃ৫৩১)
View more on Facebook
This site was designed with Websites.co.in - Website Builder
We appreciate you contacting us. Our support will get back in touch with you soon!
Have a great day!
Please note that your query will be processed only if we find it relevant. Rest all requests will be ignored. If you need help with the website, please login to your dashboard and connect to support
Search keyword
Want to know more about us
Fill in your details and we will get in touch at our earliest convenienceWant to know more about
Fill in your details and we will get in touch at our earliest convenience