Caution! Unverified Website!
The identity of this user has not yet been verified. Please make transactions at your own risk!
ইসলামীক আলোচনা:-
পোষ্ট নং :- ৫৭
☼✤☼"ঈদে মীলাদুন্নবী ﷺ পালনের
শরীয়তের বিধান"☼✤☼
প্রশ্ন :- ঈদে মীলাদুন নবী’ ﷺ যদি ঈদ হতো এবং সকল
ঈদের সেরা ঈদ হতো, তবে এখানে ছলাত থাকতো,
খুতবা থাকতো। ছলাত ডবল হতো, খুতবা ডবল হতো।
কিন্তু এখানে ছলাত, খুতবা নেই কেন?
উত্তর:
পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ﷺ যেহেতু সাইয়্যিদুল
আইয়াদ, অর্থাৎ সকল ঈদের সেরা ঈদ সেহেতু এ ঈদে
এমন ছলাত রয়েছে, সে ছলাত শুধু ডবলই নয় বরং
দায়িমী ছলাত। এ ছলাত শুরু হয়েছে সৃষ্টির শুরু থেকে
এবং এটা জারী থাকবে অনন্তকাল ধরে। কারণ এ
ছলাত স্বয়ং আল্লাহ পাক পড়েন।
সুবহানাল্লাহ!
এ প্রসঙ্গে কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে-
ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻣﻼﺋﻜﺘﻪ ﻳﺼﻠﻮﻥ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﻳﺎ ﺍﻳﻬﺎ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﺍﻣﻨﻮﺍ
ﺻﻠﻮﺍ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻤﻮﺍ ﺗﺴﻠﻴﻤﺎ .
অর্র্থ: “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক এবং উনার
ফেরেশতারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ﷺ
- উনার শানে ছলাত পড়েন। হে ঈমানদারগণ!
তোমরাও উনার শানে ছলাত পড়ো এবং সেই সাথে
যথাযথ সম্মানে সালামও পেশ করো।” (সূরা
আহযাব/৫৬)
উক্ত আয়াত শরীফ-এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক
মু’মিন-মুসলমানদের জন্য এ ছলাত পড়া ফরয-ওয়াজিব
করে দিয়েছেন। এমনকি এ ছলাত অন্য ইবাদতসমূহের
মধ্যেও পড়ার হুকুম রয়েছে। বিশেষ করে দোয়া বা
মুনাজাতকে বলা হয়েছে ইবাদতের মগজ।
যেমন হাদীছ শরীফ-এর ইরশাদ হয়েছে-
ﻋﻦ ﺍﻧﺲ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻝ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ
ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻟﺪﻋﺎﺀ ﻣﺦ ﺍﻟﻌﺒﺎﺩﺓ .
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,
দোয়া হলো ইবাদতের মগজ বা সারবস্তু।” (তিরমিযী,
মিশকাত)
আর সেই দোয়া বা মুনাজাত ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল হবে
না যতক্ষণ পর্যন্ত উনার শানে ছলাত পড়া না হবে।
সুবহানাল্লাহ!
যেমন হাদীছ শরীফ-এর বর্ণিত রয়েছে-
ﻋﻦ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﺍﻟﺨﻄﺎﺏ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﺍﻥ
ﺍﻟﺪﻋﺎﺀ ﻣﻮﻗﻮﻑ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﺴﻤﺎﺀ ﻭﺍﻻﺭﺽ ﻻﻳﺼﻌﺪ ﻣﻨﻬﺎ
ﺷﻰْﺀ ﺣﺘﻰ ﺗﺼﻠﻰ ﻋﻠﻰ ﻧﺒﻴﻚ .
অর্থ: “হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, নিশ্চয়ই দোয়া আসমান ও
যমীনের মাঝখানে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। যতক্ষণ
পর্যন্ত নবীদের নবী, রসূলদের রসূল, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ﷺ-এর প্রতি ছলাত বা দুরূদ
শরীফ পাঠ না করবে, ততক্ষণ তোমার কোন দোয়াই
আল্লাহ পাক-এর নিকট পৌঁছবেনা।”
(তিরমিযী, মিশকাত)
“তাইসীরুল উছূল” কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে-
ﺍﻟﺪﻋﺎﺀ ﻣﻮﻗﻮﻑ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﺴﻤﺎﺀ ﻭﺍﻻﺭﺽ ﻻ ﻳﺼﻌﺪ ﺣﺘﻰ
ﻳﺼﻠﻰ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ . ﺻﻠﻮﺍ ﻋﻠﻰ
ﺍﻭﻝ ﺍﻟﺪﻋﺎﺀ ﻭﺍﻭﺳﻄﻪ ﻭﺍﺧﺮﻩ .
অর্থ: “দোয়া আসমান ও যমীনের মধ্যখানে ঝুলন্ত
থাকে। যতোক্ষণ পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ﷺ এর প্রতি দুরূদ শরীফ পাঠ করা না হয়,
ততোক্ষণ পর্যন্ত দোয়া উপরে উঠে না বা কবুল হয়
না।
সুতরাং, তোমরা দোয়ার শুরুতে, মধ্যখানে ও শেষে
আমার প্রতি দুরূদ শরীফ পাঠ করো।”
অতএব, এ ছলাতের গুরুত্ব কত বেশি, তা বলার অপেক্ষা
রাখে না। একইভাবে এ ঈদে এতো বিশাল ও এতো
ব্যাপক খুতবা রয়েছে, যে খুতবা (হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ﷺ- উনার আলোচনা, প্রশংসা, মর্যাদা-মর্তবা,
ফযীলত, ছানা-ছিফত) ক্বিয়ামত পর্যন্ত বর্ণনা করা
হলেও তা শেষ হবে না। সুবহানাল্লাহ!
যেমন এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক নিজেই ইরশাদ
করেন-
ﻭﺭﻓﻌﻨﺎ ﻟﻚ ﺫﻛﺮﻙ .
অর্থ: “হে আমার হাবীব ﷺ আমি আপনার আলোচনা বা
খুতবাকে বুলন্দ করেছি।”
(সূরা আলাম নাশরাহ-৪)।
সুবহানাল্লাহ!
এবং আল্লাহ পাক বান্দাদেরকে আদেশ করেছেন যে-
ﺍﻧﺎ ﺍﺭﺳﻠﻨﻚ ﺷﺎﻫﺪﺍ ﻭﻣﺒﺸﺮﺍ ﻭﻧﺬﻳﺮﺍ . ﻟﺘﺆﻣﻨﻮﺍ ﺑﺎﻟﻠﻪ
ﻭﺭﺳﻮﻟﻪ ﻭﺗﻌﺰﺭﻭﻩ ﻭﺗﻮﻗﺮﻭﻩ ﻭﺗﺴﺒﺤﻮﻩ ﺑﻜﺮﺓ ﻭﺍﺻﻴﻼ .
অর্থ: “তোমরা হাবীবুল্লাহ ﷺ উনার খিদমত করো,
উনাকে সম্মান করো এবং সকাল-সন্ধ্যা, অর্থাৎ
সদাসর্বদা উনার প্রশংসা, ছানা-ছিফত, মর্যাদা-
মর্তবা বর্ণনা করো। এক কথায় উনার শানে খুতবা
প্রদান করো।” (সূরা ফাতহ- ৮, ৯)
সুবহানাল্লাহ!
স্মরণীয় যে, সব ঈদের হুকুম এক রকম নয়। যেমন ঈদুল
ফিতরের বিশেষ আমল হলো ঈদের নামাযের পূর্বে
ছদকাতুল ফিতর আদায় করা। আর ঈদুল আযহার বিশেষ
আমল হলো ঈদের নামাযের পরে পশু কুরবানী করা।
যার প্রত্যেকটি ওয়াজিব।
এ দু’ঈদে কিন্তু রোযা রাখা হারাম।
কিন্তু জুমুআর দিন ও আরাফা’র দিন মুসলমানদের এ দু’
ঈদে রোযা রাখা হারাম নয় বরং অশেষ ফযীলতের
কারণ।
আর এ দু’ ঈদের আমলের মধ্যে কুরবানী কিংবা
ছদক্বাতুল ফিতর কোনটিই নেই। বরং জুমুআর দিনে
যুহরের নামাযের পরিবর্তে কেবলমাত্র পুরুষ,
বালিগ, সুস্থ, মুক্বীম ব্যক্তির জন্য মসজিদে গিয়ে
খুতবাসহ নামায আদায় করতে হয়। আর মহিলাদের
জন্য জুমুআর দিনে আলাদা কোন ছলাতও নেই, আবার
খুতবাও নেই। আর আরাফার দিনে শুধুমাত্র যারা
হজ্জে যেয়ে থাকেন, তাদের জন্য ৯ই যিলহজ্জ
আরাফার ময়দানে অবস্থান করাটা ফরযের
অন্তর্ভুক্ত। আর শুধুমাত্র হাজীগণের জন্য আরাফা’র
ময়দানে যুহর ও আছর নামায পড়তে হয়।
ঈদের দিন হওয়া সত্ত্বেও আরাফা’র ময়দানে আলাদা
কোন ছলাত নেই।
আর খুতবা শুধুমাত্র হাজীগণের জন্যই। হাজীগণ
ব্যতীত দুনিয়ার কোন মুসলমানের জন্য, হোক সে পুরুষ
অর্থবা মহিলা তার জন্য আরাফা’র দিন ঈদের দিন
হওয়া সত্ত্বেও আলাদা কোন ছলাতও নেই, খুতবাও
নেই। আর অন্যান্যদের জন্য আরাফা’র দিন রোযা
রাখা খাছ সুন্নত এবং অশেষ ফযীলতের কারণ।
এছাড়া, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম- উনার প্রতি
খাঞ্চা নাযিলের দিনকে যে ঈদের দিন সাব্যস্ত
করা হয়েছে, সে ঈদ উপলক্ষে কোন খুতবা ও ছলাত
(নামায) রয়েছে কি?
বরং সে ঈদ উপলক্ষে কেবল খাদ্য গ্রহণের বিষয়টি
উল্লেখ রয়েছে। তাহলে দেখা যাচ্ছে, ঈদ হলেই যে
খুতবা ও ছলাত থাকতে হবে, তা নয়। বরং একেক ঈদের
একেক হুকুম, যা আল্লাহ পাক- উনার কুদরতের
অন্তর্ভুক্ত।
অতএব, সাইয়্যিদুল আইয়াদ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী
ﷺ সম্পর্কে উলামায়ে ছূদের প্রদত্ত বক্তব্য চরম
জিহালত ও মূর্খতা বলেই প্রমাণিত হলো।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে কোরআন ও হাদীস
সঠিকভাবে বুজার এবং মানার তাওফিক দান করুন।
প্রচারে :- Md Akr Khan
.
https://www.facebook.com/asiddiqur284/
View more on Facebook
This site was designed with Websites.co.in - Website Builder
We appreciate you contacting us. Our support will get back in touch with you soon!
Have a great day!
Please note that your query will be processed only if we find it relevant. Rest all requests will be ignored. If you need help with the website, please login to your dashboard and connect to support
Search keyword
Want to know more about us
Fill in your details and we will get in touch at our earliest convenienceWant to know more about
Fill in your details and we will get in touch at our earliest convenience