ﺍَﻟﺴَّﻼَﻡْ ﻋَﻠَﻴْــــــــــــــــــــﻜُﻢْ ﻭَ ﺭَﺣْﻤَﺔُ ﺍﻟﻠﮧِ ﻭَﺑَﺮَﻛَﺎﺗُﻪُ ইসলামীক আলোচনা-: সোমবার রোজা রাখা নিয়ে বাতিল ফির্কার বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের জবাবঃ :জবাব ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺻَﻞِّ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ‌ যারা সিয়া সিত্তার অন্যতম কিতাব “ মুসলিম শরীফের ” হাদীস শরীফ মানে তারা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবী ﷺ এর বিরোধীতা করতে পারে না। এই বিশুদ্ধ হাদীস গ্রন্থে একটা হাদীস শরীফ বর্ণিত আছে, ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻰ ﻗَﺘَﺎﺩَﺓَ ﺍﻷَﻧْﺼَﺎﺭِﻯِّ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ... ﻭَﺳُﺌِﻞَ ﻋَﻦْ ﺻَﻮْﻡِ ﻳَﻮْﻡِ ﺍﻻِﺛْﻨَﻴْﻦِ ﻗَﺎﻝَ ﺫَﺍﻙَ ﻳَﻮْﻡٌ ﻭُﻟِﺪْﺕُ ﻓِﻴﻪِ ﻭَﻳَﻮْﻡٌ ﺑُﻌِﺜْﺖُ ﺃَﻭْ ﺃُﻧْﺰِﻝَ ﻋَﻠَﻰَّ ﻓِﻴﻪِ . অর্থ: হযরত আবূ ক্বতাদাহ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ﷺ উনাকে ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার উনার দিনে রোযা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি জওয়াবে বলেছিলেন, ইহা এমন একখানা দিন যে দিনে আমি দুনিয়ায় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছি এবং এ দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে নুবুওওয়াত প্রকাশ করা হয়েছে তথা এ দিনে আমার উপর পবিত্র কুরআন শরীফ নাযিল শুরু হয়েছে। #সুবহানাল্লাহ ! )ছহীহ মুসলিম -পরিচ্ছেদ : ইস্তিহবাবু ছিয়ামি ছালাছাতি আইয়ামিন মিন্ কুল্লি শাহরিন ওয়া ছাওমি ইয়াওমি আরাফাতা ওয়া আশূরা ওয়াল ইছনাঈন ওয়াল খমীছ- হাদীস নম্বর ১১৬১ ( এছাড়া উক্ত হাদীস শরীফ ছহীহ ইবনি খুযাইমাহ কিতাবুছ ছিয়াম বাবু ইস্তিহ্বাবি ছওমি ইয়াওমিল্ ইছনাইন ইযিন্ নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বুলিদা ইয়াওমুল্ ইছনাইনি ওয়া ফীহি ঊহিয়া ইলাইহি ওয়া ফীহি মাতা ﷺ অধ্যয়ে ও সুনানু আবী দাঊদ পরিচ্ছেদ: ফী ছাওমিদ্ দাহরি তাতাওউয়ান- ২৪২৬ নম্বর হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে। উক্ত হাদীস শরীফ থেকে যে বিষয়গুলো পরিষ্কার হচ্ছে সেটা হলো - ১) হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ﷺ তিনি নিজের বিলাদত শরীফ পালন বা ঈদে মীলাদে হাবীবী পালন করেছেন। ২) ঈদে মীলাদে হাবীবী পালন উপলক্ষে তিনি শুকরিয়া স্বরূপ রোজা রেখেছেন। ৩) এতটাই গুরুত্ব দিয়েছেন যে, প্রতি সপ্তাহে বিলাদত শরীফের যে বার অর্থাৎ সোমবার সেদিন নিদৃষ্ট করে নিয়ে পালন করেছেন। ৪) পরবর্তী উম্মত যদি ঈদে মীলাদে হাবীবী পালন করে তবে সেটা সুন্নাতে ﷺ হবে। ৫) কেউ যদি ঈদে মীলাদে হাবীবী পালন করা বিদয়াত বলে তাহলে একটি খাছ সুন্নতকে বিদয়াত বলার কারনে কুফরী হবে। ৬) কেউ যদি বলে ঈদে মীলাদে হাবীবী খাইরুল কুরুনে ছিলো না, কথাটা সম্পূর্ণ মিথ্যা হবে। ৭) কেউ যদি বলে ৬০০ হিজরীর পরে ঈদে মীলাদে হাবীবী চালু হয়েছে সেটা নবীজীর প্রতি স্পষ্ট অপবাদ দেয়া হবে। ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ আল্লাহ আমাদের সবাইকে কোরআন ও হাদীস সঠিকভাবে বুজার এবং মানার তাওফিক দান করুন। জবাব : ০২ https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2088854348005019&id=1504208036469656 জবাব : ০৩ https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2088869991336788&id=1504208036469656 জবাব : ০৪ https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2089230851300702&id=1504208036469656 জবাব : ০৫ https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2089233151300472&id=1504208036469656 জবাব : ০৬ https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2089234574633663&id=1504208036469656 জবাব : ০৭ https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2089234831300304&id=1504208036469656

View more on Facebook