Caution! Unverified Website!
The identity of this user has not yet been verified. Please make transactions at your own risk!
শাইখুল ইসলাম আল্লামা মওদূদীর (র.) এর প্রচলিত ইলমি সনদ:
____________________________
এক শ্রেণীর লোক আছে যারা আওলাদে রাসূল শাইখুল ইসলাম আল্লামা সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী রহিমাহুল্লাহ এর বিরোধীতা করতে গিয়ে বলে তিনি নাকি আলেমই নন। নাউযূবিল্লাহ! কারণ তারা মনে করে ইলম শুধু সার্টিফিকেটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। তারা জানে না যে ইলম হলো আল্লাহর দান। আল্লাহ তা'য়ালা বলেনঃ
ﻳَﺮْﻓَﻊِ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺃُﻭﺗُﻮﺍ ﺍﻟْﻌِﻠْﻢَ ﺩَﺭَﺟَﺎﺕٍ
.
তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে মর্যাদায় সমুন্নত করবেন।
(সূরা মুজাদালাঃ১১)
.
রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ
« ﻣَﻦْ ﻳُﺮِﺩِ ﺍﻟﻠﻪُ ﺑِﻪِ ﺧَﻴْﺮﺍً ﻳُﻔَﻘِّﻬْﻪُ ﻓِﻲ ﺍﻟﺪِّﻳﻦِ » . ﻣﺘﻔﻖٌ ﻋَﻠَﻴْﻪِ
আল্লাহ তা'য়ালা যার মঙ্গল চান, তাকে দীনের জ্ঞান দান করেন।
(সহীহ বুখারী হাঃ৭১, ৩১১৬, ৩৬৪১, ৭৩১২, ৭৪৬০; সহীহ মুসলিম, হাঃ ১০৩৭, ইবনু মাজাহ, হাঃ২২১; মুসনাদে আহমদ, হাঃ১৬৩৯২, ১৬৪০৭, ১৬৪৩২, ১৬৪৭৬; মুয়াত্তা মালিক, হাঃ১৬৬৭; দারেমী, হাঃ ২২৪)
.
১. শাইখুল ইসলাম আল্লামা মওদূদী রাহিমাহুল্লাহ কে যাঁরা চিনতেন এবং তাঁর সাথে কাজ করতেন তাঁরা জানতেন তিনি একজন প্রকৃত আলিম; এমনকি যাঁরা পরে তাঁর সংশ্রব থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন তাঁরাও তাঁর আলিম হওয়াকে অস্বীকার করতেন না। কিন্তু কিছু লোক যারা নিজেরা মূলত আলিম নয়, তারাই তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা রটায় এবং বলে যে তিনি আলিম ছিলেন না। তাকে মাওলানা বলা যাবে না। অথচ তাঁর অন্যতম সমালোচক ত্বকী উসমানী সাহেবও তাকে মাওলানা বলে সম্বোধন করেছেন।
.
২. ইসলামে আলিম হবার নিয়ম কী? আলিম হবার নিয়ম হচ্ছে আপনি একজন আলিমের তত্ত্বাবধানে নির্দিষ্ট বিষয় অধ্যয়ন করবেন। এরপর আপনার উস্তাদ যখন নির্দিষ্ট বিষয়ে আপনি পারঙ্গম হয়েছেন বলে নিশ্চিত হবেন তখন তিনি আপনাকে ইজাযাহ (সনদ) দান করবেন। এভাবে আপনি ঐ বিষয়ে আলিম হবেন। ইসলামে আলিম হবার এটাই হচ্ছে প্রচলিত পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতেই আলিম হয়েছেন আমাদের আগের দিনের উলামারা - আয়িম্মায়ে আল-মুজতাহিদীন, মুহাদ্দিসীনগণ সবাই। এখনকার মাদ্রাসা বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি নেওয়াটা মূলত ঐ ইজাযাহ পদ্ধতি থেকে চলে আসা পথ।
.
৩. উস্তাদ সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী (রহিমাহুল্লাহ) মূলত সেই প্রচলিত ইসলামী ইজাযাহ পদ্ধতিতে গড়ে ওঠা আলিম। তিনি ইসলামের মৌলিক সবগুলো বিষয়ে তৎকালীন ভারতের প্রসিদ্ধ আলিমদের থেকে ইজাযাহ প্রাপ্ত। তাই তাঁকে যাঁরা চিনতেন তেমন বিরোধীরাও তাঁর আলিম হওয়া নিয়ে কথা বলতো না। তাঁর পরিবারের কাছে তাঁর ইজাযাহগুলো এখনও সংরক্ষিত। মুশকিল হচ্ছে তাঁর জীবনীকাররা তাঁর ইজাযাহগুলো সম্পর্কে যথেষ্ট পরিমাণে লিখেননি।
.
৪. আল- আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও বিশিষ্ট ফকীহ এবং আলিম আল্লামা ড. সায়্যিদ আব্দুল হালিম মুহাম্মদ হুসাইন (হাফিজাহুল্লাহ) এর লেখা "নাযারাত ফী ফিকরি আবীল-আলা আল- মওদূদী" কিতাবে আল্লামা মওদূদী রাহিমাহুল্লাহ এর শিক্ষাগত যোগ্যতার যে বিবরণ তিনি দিয়েছেন তা থেকে আমি পাঠকদের জন্য উল্লেখ করছি।
.
(ক) আরবী ভাষা, নাহু, সরফ, আল-মা'ক্বুলাত ওয়াল-বালাগাহ ওয়াল মা'আনী: এগুলোতে তিনি ইজাজাহ লাভ করেছেন দিল্লীর দারুল উলুমে ভারতের প্রখ্যাত আলিম মাওলানা শায়খ আব্দুস-সালাম নিয়াজীর (রহিমাহুল্লাহ) কাছ থেকে।
.
(খ) হাদীস ও উলুম আল-হাদীস: শায়খ ইশফাক্বুদ্দীন কান্দাহলাবীর (রহিমাহুল্লাহ) কাছ থেকে এ বিষয়ে ইজাযাহ লাভ করেন তিনি।
.
(গ) ফিক্বহ, তাফসীর বায়দাওয়ী এবং আল- মাতূল ফী 'ইলম আল-মা'আনী ওয়াল- বালাগাহ: এ বিষয়গুলোতে তিনি ইজাযাহ লাভ করেন শায়খ শরীফুল্লাহর (রহিমাহুল্লাহ) কাছ থেকে।
.
(ঘ) ইংরেজী ভাষা: মৌলভী মুহাম্মদ ফাদিল এর হাতে মাত্র চার মাসে তিনি ইংরেজী ভাষা শিক্ষায় বুৎপত্তি লাভ করেন।
.
৫. ড. শায়খ আব্দুস-সালাম আযাদী উস্তাদ মওদূদী রাহিমাহুল্লাহ এর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে আরো লিখেছেন:
উস্তাদ নাদীমুল্লাহ হাসনাইন ও শায়খ নিয়ায ফাতেহপুরীর কাছ থেকে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। মুহাম্মাদ ফাদিল এর কাছে শুধু ইংরেজি ভাষা নয়, ইতিহাস, দর্শন, সমাজ বিজ্ঞান ও বিভিন্ন ধর্মের তুলনা মূলক আলোচনা পড়েছেন। তিনি মাওলানা ইশফাকুর রহমান কান্ধেল্ভীর কাছ থেকে হাদীস ফিকহ ও আরবী সাহিত্য পাঠদানের ইজাযাহ নেন ১৯২৭ সালে এবং তিরমিযি ও মুওয়াত্তা ইমাম মালিক শিক্ষা দানের ইজাযাত গ্রহন করেন ১৯২৮ সনে। এই দু বছর তিনি সম্পূর্ণ সময় ব্যয় করেছেন লেখা পড়ার পেছনে।
.
৬. দেওবন্দে আল্লামা মওদূদী তাদের পত্রিকা 'আল-জামইয়্যাত' এর সম্পাদক তখনই হতে পেরেছেন যখন সেখানকার আলিমরা তাঁকে সার্টিফাই করেছেন। কিছু মুর্খ লোক বলে 'তিনি আলিম ছিলেন না'। তারা জানেন না মাওলানার অনেক বই বুঝতে হলে ছোটো-খাটো আলেম হলেও চলবে না।
.
৭. ইসলামে যখন কাউকে আলিম বলা হয় তখন মাদ্রাসা পাশ কাউকে বুঝায় না। আলিম একটা বিরাট ব্যাপার। আল্লামা মওদূদী রাহিমাহুল্লাহ মূলত আলিম শব্দটার যথার্থ অর্থেই আলিম।
.
৮. পাকিস্তানীরা আল্লামা মওদূদী রাহিমাহুল্লাহ কে অনেক উচু মানের এক জন বড় আলেম বলে জানে। সউদীরা তাকে বলে শায়েখ ও ইমাম বলে। ইন্দোনেশিয়াতে তাকে উস্তাদ ছাড়া ডাকা হয় না।
.
৯. আপনারা হয়তবা অনেকেই জানেন না যে, আল্লামা মওদূদী রাহিমাহুল্লাহ ছিলেন মদীনা ইউনিভারসিটি প্রতিষ্ঠাতার একজন উদ্যোগতা। বেশির ভাগ প্রস্তাবনা ছিল তার। তিনি ছিলেন Muslim World League (রাবিতা আল আলাম আল ইসলামি) এর প্রতিষ্ঠাতাদের একজন।
উনি ইসলামিক ইউনিভারসিটি অব মদীনার শরীয়া ডিপার্টমেন্ট এর দায়িত্তেও ছিলেন।
.
১০. আল্লামা মওদূদী রাহিমাহুল্লাহ এর জানাযার নামাজ পড়িয়েছিলেন এখন ও তখনকার সময়ের মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে নন্দিত আলেম শাইখ আল্লামা ইউসুফ আল কারজাবী।
বাদশাহ নাজ্জাশির পর কা'বার চত্তরে উনার জানাযার নামাজ পড়া হয়েছে। উনি মনে হয় এই দুনিয়ার একমাত্র আলেম যিনি সাহস করে নিজের লিখা পবিত্র কুরাআন শরীফের তাফসির একটি মাসিক 'তরজুমানুল কুরআন' পত্রিকা হিসেবে প্রকাশ করেছেন। এইটা কিন্তু খুব ইলম ও সাহসের কাজ, এতে সন্দেহ নাই।
.
১১. শাইখুল ইসলাম আল্লামা সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদুদী রাহিমাহুল্লাহ সেই মহান আলেম, যিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মসজিদে নববীর পাশে অবস্থিত মদীনা ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন।
.
১২. আল্লামা সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদুদী রাহিমাহুল্লাহ সেই মহান ব্যক্তি, সৌদি আরবের সরকার যার ইলমের সম্মানার্থে পবিত্র মক্কা নগরীতে একটা রাস্তার নাম রেখেছে "শা'রে আল-উস্তাদ আল মওদুদী"।
.
১৩. আল্লামা সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদুদী রাহিমাহুল্লাহ বিখ্যাত ও প্রসিদ্ধ মুফাচ্ছির ও ফকীহর মধ্যে অন্যতম, যিনি রচনা করেছেন যুগ-যামানার শ্রেষ্ঠ তাফসীর "তাফহীমুল কুরআন" সহ এক সুবিশাল সাহিত্য ভান্ডার। যার ফলে পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ যুবক তার লেখা তাফসীর ও বই পড়ে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে একটি স্বর্নালী সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের আন্দোলন এর সন্ধান খুঁজে পেয়েছে।
.
১৪. বিংশশতাব্দীর ইলমের বাহার সম্পূর্ণ একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন শাইখুল ইসলাম সাইয়্যেদ আবুল আলা মওদুদী (রহঃ)। তিনি শুধু ওহীর ইলম আহরোণ করেই ক্ষান্ত হননি বরং ওহীর ইলম প্রচার প্রসার ও তা বাস্তবায়নেও যথেষ্ট অবদান রেখেছেন।
তাঁর লেখনি, জীবনী এবং তাঁর হাতে গড়া ইকামতে দীনের সংগঠনের প্রতি নজর প্রমাণ মিলে।
.
১৫. শাইখুল ইসলাম আল্লামা মওদূদী রাহিমাহুল্লাহ শুধু বিখ্যাত আলেমই নন বরং লক্ষ লক্ষ আলেমের উস্তাদও বটে। তাঁর তাফসীর সহ কুরআন সুন্নাহর আলোকে রচিত কিতাবাদি অধ্যায়ন করে লক্ষ লক্ষ সাধারণ শিক্ষিত যুব সমাজ আলেমে পরিণত হয়েছে। আজও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় তাঁর তাফসীরসহ বিভিন্ন লিখনি দলিল হিসাবে পেশ করা হয়।
আলহামদুলিল্লাহ!
.
ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟَﻨَﺎ ﻭَﻟِﺈِﺧْﻮَﺍﻧِﻦَﺍ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺳَﺒَﻘُﻮﻧَﺎ ﺑِﺎﻟْﺈِﻳﻤَﺎﻥِ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺠْﻌَﻞْ ﻓِﻲ ﻗُﻠُﻮﺑِﻨَﺎ ﻏِﻠًّﺎ ﻟِﻠَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺇِﻧَّﻚَ ﺭَﺀُﻭﻑٌ ﺭَﺣِﻴﻢٌ
‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে ও আমাদের ভাই যারা ঈমান নিয়ে আমাদের পূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে তাদেরকে ক্ষমা করুন; এবং যারা ঈমান এনেছিল তাদের জন্য আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রাখবেন না; হে আমাদের রব, নিশ্চয় আপনি দয়াবান, পরম দয়ালু।
(সূরা হাশরঃ১০)
হে আমাদের রব! আপনি আল্লামা মওদূদী রাহিমাহুল্লাহ এর খেদমত কে কবুল করে নিন আর তাঁর দোষত্রুটি ক্ষমা করে দিন।
ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺁﻣﻴﻦ
View more on Facebook
This site was designed with Websites.co.in - Website Builder
We appreciate you contacting us. Our support will get back in touch with you soon!
Have a great day!
Please note that your query will be processed only if we find it relevant. Rest all requests will be ignored. If you need help with the website, please login to your dashboard and connect to support
Search keyword
Want to know more about us
Fill in your details and we will get in touch at our earliest convenienceWant to know more about
Fill in your details and we will get in touch at our earliest convenience